"বাঁচাও" আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল কোকেন থেকে।
" Newton's third law is: For every action, there is an equal and opposite reaction"আজ ২০ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইংরেজি। নিউটনের তৃতীয় সূত্র মতে প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান বিপরীত বিক্রিয়া থাকে ঠিক তেমনি প্রতিটি ভালোর বিপরীত খারাপ দিক রয়েছে। বর্তমানে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ খুব দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের হাতে এখন স্মার্ট এন্ড্রয়েড মোবাইল। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমরা আমরা কতটা উপকার পাই কখনো কি ভেবে দেখেছেন??
হ্যাঁ ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনেক উপকার পাই, যা অনেক সময় ধরে বিশ্লেষণ করে শেষ করা যাবে না। মুহূর্তের মধ্যেই খবর ইমেইল,ভিডিও টিউটোরিয়াল, জরুরী তথ্য সবকিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে হয়ে গিয়েছে। এখন একটু ভাবুন যার এত কিছু সুবিধা আছে তার কি কোন খারাপ দিক নেই ??
হ্যাঁ অবশ্যই খারাপ দিক আছে তারপরও আমরা কিন্তু সচেতন হচ্ছি না। আসুন প্রসঙ্গের গভীরে যাই। কখনো কি শুনেছেন ডিজিটাল কোকেন??? কি এই ডিজিটাল কোকেন ?? আর কোথায় বা পাওয়া যায়??
ডিজিটাল কোকেন হচ্ছে খুবই সহজলভ্য এক বস্তু যা আমরা সহজেই পাই বা বলা যায় আমাদের সাথেই থাকে। এবার শুনুন কিছু নমুনা:-
#ঘটনাপ্রবাহ ১ "রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি ভবনের ছাদে ফেসবুকে ব্যস্ত ছিল ১৫ বছরের এক কিশোর। সে কথাও বলছিল কানে হেডফোন দিয়ে। ছাদের ওপর সে অবিরাম হাঁটলেও চোখ ছিল মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। এক পর্যায়ে সে ছাদ থেকেই পড়ে যায় নিচে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।"
#ঘটনাপ্রবাহ ২ "এসএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়া সাইফুল ইন্টারমিডিয়েটেই ফেল। রেজাল্ট দেখে হতবাক তার বাবা মা। কী করে সম্ভব! অবশেষে তারা জানতে পারলেন তাদের ছেলে লেখাপড়ার চেয়ে ফেসবুকেই ব্যস্ত থাকত বেশি। ঘর আটকেও ফেসবুকে চ্যাট করত। বাবা মার ধারণা ছিল তাদের সন্তান লেখাপড়ায় মগ্ন। বাসার সবাই হয়তো একটা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, শুধু সাইফুল আলাদা। সে ফোনে ফেসবুক নিয়েই থাকতে ভালো বাসত।"
ছাদ থেকে পড়ে মারা যাওয়া কিশোর আর ফেল করা সাইফুল-দুজনই নেশায় আসক্ত। তবে এই নেশা সেই নেশা নয়। ফেসবুকের নেশা। মনোবিজ্ঞানীরা এই নেশাকে ‘ডিজিটাল কোকেন’ নাম দিয়েছেন। আর এই ডিজিটাল কোকেনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন সব ধরনের মানুষ। কোনো কোনো পরিবারের প্রতিটি সদস্যই এই নেশায় আসক্ত।
ফিরে আসা যাক এবার বাস্তবতায়!! এর পিছনে আমাদের দায় কতটুকু? কখন কি ভেবে দেখেছেন? একজন দায়িত্বশীল পরিবারের ব্যক্তি হয়ে কতটা ক্ষতি করছেন!! বাচ্চা কান্না করছে বলে মা হাত তুলে দিচ্ছেন স্মার্ট মোবাইল ফোন,ছোট ছেলে বায়না ধরেছে বাবার কাছে পরীক্ষায় পাস করলে কিনে দিতে হবে এন্ড্রয়েড ফোন। এভাবেই তো একটা শিশুর স্মার্টফোনের সাথে পরিচয় হয়।
এর পরের পর্ব টা কতটা ভয়ঙ্কর ভেবে দেখেছেন? কখনো কি ভেবে দেখেছেন ইন্টারনেট নামেই এই রেলগাড়িটি কতগুলো স্টেশন রয়েছে, আর কোন প্লাটফর্মে রয়েছে কোন ধরনের বিপদ!!
নয় দশ বছরের কিশোর কিশোরীর আজ আসক্ত হয়ে পড়ছেন ফেসবুকে, যেই বয়স আমরা পার করেছি গ্রামে মাঠে খেলার তালে। আজ ৯ বছরের এক ছেলে ফেসবুকে ছবি দেয় তার বান্ধবীকে নিয়ে। আজ মা-বাবার আদরের রাজকন্যা টিক টক নামে ফান ভিডিও তে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। কখন কি খবর রাখেন আপনার সন্তান কোথায় লাইভ ব্রডকাস্টিং করছে!!! আর পর্নোগ্রাফির কথা তো বাদই দিলাম। খবরের কাগজ খুললেই প্রতিদিন প্রথম পাতায় ছাপা হচ্ছে দুই একটা ধর্ষণের খবর।
ঘটনাপ্রবাহ ৩ "আজ ১৩ বয়সের এক কিশোর হত্যা করছে ৯ বছরের এক প্রতিবেশী মেয়েকে, পুলিশের ধারণা হচ্ছে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয় ।" ক্রাইম পেট্রোল সিআইডি সিরিয়াল নামে অপরাধকে পরিকল্পনা ছড়িয়ে দিচ্ছি প্রতিটি মানুষের মগজ এর ভিতরে।
এর দায়ভার কার? সরকারের না আপনার? আপনি কি সচেতন করছেন আপনার বাচ্চাকে? তাকে কি বুঝাচ্ছেন ভালো মন্দের তফাৎ। এখনই সময় নিজে সচেতন হোন এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ও সচেতন করুন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য:- কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা আমার উদ্দেশ্য নয়, একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরনের কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। যুক্তি তো উত্তর দিবেন তর্কে নয়)
তথ্য সোর্সস:-
ডিজিটাল কোকেইন http://bit.ly/Digitalcooking1 ,
ঘটনাপ্রবাহ ৩
http://bit.ly/13boyrape ,
অতিরিক্ত সংযোজন:
মুক্ত বাতাসের খোঁজে
bit.ly/2EDgatR
ডিজিটাল কোকেন https://youtu.be/gX8kNxGsBws
ইমেজ সোর্স
http://bit.ly/38XNA4r
http://bit.ly/2Q3BdLu
ক্যাটাগরি:- #সচেতনতা #ইন্টারনেট #ডিজিটালবাংলাদেশ #সোশ্যালমিডিয়া #socialmedia #live_broadcast #tikTok
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন